৬৩টি ইসলামী বই

কবর পাকা করা সম্পর্কে শরয়ী নিষেধাজ্ঞা

সকল প্রশংসা একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীনের জন্যে, যিনি জগত সমূহের একচ্ছত্র মালিক। অজস্র শান্তির ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমনী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সকল অনুসারীদের উপর। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে কবর পাকা করা, চুনকাম করা, কবর উঁচু করার প্রবনতা দেখা যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্থানে এ ধরণের কর্মকান্ড খুবই বেশী। প্রতিনিয়ত তা বেড়েই চলছে। মানুষের ধারণা হল এ সমস্ত কাজ শরীয়ত সম্মত এবং এতে ছোয়াব রয়েছে। তাই দেখা যায় করবস্থানে, রাস্তার আশে-পাশে, চৌরাস্তায় ও বটগাছ তলায় কবর পাকা করে, চুনকাম করে, তাতে উন্নত নেমপ্লেট ব্যবহার করে মৃত্যু ব্যক্তির জন্ম, মৃত্যু তারিখ ও বিভিন্ন বানী লিখে রাখা হয়।এ জাতীয় সকল কাজ শরীয়ত বিরোধী। শরীয়তে এর হুকুম হল বিদআত। বিস্তারিত দেখুন

ইসলামে বড় বড় নিষিদ্ধ বিষয় সমূহ, যা থেকে বিরত থাকা সকল মুসলিম নর-নারীর আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা মহা বিজ্ঞ। তিনি মানুষের জন্য সেটাই নিষেধ করেছেন যাতে তাদের ক্ষতি রয়েছে। অপর পক্ষে যাতে মানবতার কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে তাই আদেশ করেছেন।
নিশ্চয় মানুষের ইসলাম শক্তিশালী হয় ও আল্লাহর প্রতি ভালবাসা প্রকাশিত হয়- আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা থেকে নিজেকে বিরত রাখার মাধ্যমে- যদিও স্বীয় আত্বা তার আকাংখা রাখে। কেননা সে নিজের প্রবৃত্তির উপর আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দেয়। অতএব ইসলামে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক বড় বড় নিষিদ্ধ বিষয়গুলো তুলে ধরছি।
১) আল্লাহর সাথে শিরক।
২) ইসলামের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করা বা তা ঘৃণা করা।
৩) আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন তাতে অসন্তষ্টি বা ক্রোধ প্রকাশ করা। যুগকে গালি দেয়া।
৪) কোন হারামকে হালাল মনে করা বা হালালকে হাaরাম মনে করা। ধর্ম সম্পর্কে মূর্খতা সূলভ কথা বলা। বিস্তারিত পড়ুন

ওযু (পবিত্রতা)র ফযীলত, পদ্ধতি ও ভুল।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সুপ্রিয় দ্বীনি ভাই! বিশ্বপ্রতিপালক মহান রাব্বুল আলামীন সৃষ্টিলোককে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন কেবল একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, আর তা হচ্ছে তাঁর দাসত্ব ও গোলামী করা। এ দাসত্ব অনেক ভাবেই হয়ে থাকে। যেমনঃ নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, দান-সাদকাহ, কুরবানী আশা-ভরসা, প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি। এ গুলোর মধ্যে সর্বত্তোম ইবাদত হল নামায। নাযাম পড়ার জন্য প্রয়োজন পবিত্রতা অর্জন করা। পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহ তাআলার কাছে নামায গৃহীহ হবে না। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ

لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ

“আল্লাহ তাআলা তোমাদের কারও নামায গ্রহণ করবেন না, যখন সে অপবিত্র হয়ে যায়,যতক্ষন না সে অযু করে। (বুখারী ও মুসলিম)
যে ব্যক্তি নিবেদিত প্রাণে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সুন্দরভাবে অযু করবে তার জন্য রয়েছে পরকালীন জীবনে মহাপুরস্কার। নিম্নে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ হতে এ বিষয় কিছু আলোকপাত করা হল। বিস্তারিত পড়ুন

সাইয়েদুল ইসতিগফার দু’আটি জানা আছে কি? এতে রয়েছে জান্নাতের ঘোষণা!!

 

"আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দুআ ফেরত দেয়া হয় না।" আল হাদীস

সাইয়েদুল ইসতিগফার (আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার জন্য শ্রেষ্ঠতম দুআ) টি কি আমাদের জানা আছে? হয়ত অনেকের জানা আছে আবার অনেকের জানা নেই। কিন্তু প্রতিটি মুসলমানের জন্য দু’আটি জানা দরকার। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এতে আমাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। এটা একটি বিরাট ঘোষণা। নি:সন্দেহে তা জান্নাত প্রত্যাশী মানুষের আনন্দিত হওয়ার বিষয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি (সাইয়েদুল ইসতিগফার) পাঠ করবে ঐ দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যু বরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে এবং যে কেউ ইয়াকিনের সাথে রাত্রিতে পাঠ করবে ঐ রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।” (বুখারী) বিস্তারিত

যত মত তত পথ

আমাদের দেশে দিন দিন একটি করে দলের আবির্ভাব ঘটে। প্রত্যেকেই দাবী করে আমরাই সত্য। তারা বাদ দিয়ে যারা আছে সকলেই কুরআন ও সুন্নাহর বিরোধী। ভুল পথে আছে। এখন প্রশ্ন হল তাদের এ দাবী কতটুকু সত্য আসুন একটু ভেবে দেখি।
সীরাতে মুস্তাকীম তথা সেই সঠিক পথ কোন্‌টি, যার উপর চলার জন্যে আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেই পথ ব্যতীত অন্য পথে চলতে নিষেধ করেছেন?
এই পথটি হচ্ছে দ্বীন ইসলামের পথ, যা দিয়ে আল্লাহ্‌ তাআলা সমস্ত রাসূল প্রেরণ করেছেন, যার জনেই সমস্ত কিতাব নাযিল করেছেন, যে দ্বীন ব্যতীত আল্লাহ্‌ অন্য কোন দ্বীন কবুল করবেন না, যে দ্বীনের পথে না চললে কেউ নাজাত পাবে না। যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য পথে চলবে, সে সঠিক পথ হারা হয়ে যাবে এবং বিপদগামী হবে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেনঃ বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহর একত্ববাদ-যার কোন বিকল্প নেই

تأليف : عبد الله الباقي بن عبد الجليل

আল্লাহর একত্ববাদ
সংকলন: আব্দুল্লাহ আল বাকী
———————————
ভূমিকা: ‘লা ইলা হা ইল্লাল্লাহ’ অর্থ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। অর্থাৎ প্রকৃত ও সত্য ইলাহ একজনই আছেন। তিনি হলেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন। তিনি ছাড়া আর যা কিছুর ইবাদত করা হয় যেমন মূর্তি, জ্বিন, সূর্য, কবর, পাথর, মাযার ইত্যাদি; এগুলো কারো না কারো মা’বূদ বা উপাস্য কিন্তু সবই বাতিল, অপ্রকৃত এবং মিথ্যা মা’বূদ। এ বক্তব্যের সার কথাই হল তাওহীদ বা একত্ববাদ। নিচে একত্ববাদের মর্ম কথা তুলে ধরা হ’ল।

তাওহীদের গুরুত্বঃ
একমাত্র তাওহীদই ঈমান ও কুফুরীর মধ্যে বিভাজন রেখা রচনা করে। তাই তওহীদের পরিষ্কার ধারণা ও সঠিক বুঝ না থাকলে নামায, রোযা, হাজ্জ, আল্লাহর পথে খরচ ও মেহনত, ইক্বামতে দীনের পথে সংগ্রাম, জিহাদ ও হিজরত ফী সাবীলিল্লাহ এবং শাহাদাতের মত সেরা ইবাদত গুলোও বিফলে যাবে। তাই আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিকে তাকালে দেখতে পাই, তিনি নবুওতের মক্কী ১৩ টি বছরের মধে ১১টি বছরই কাটিয়ে ছিলেন শুধু তাওহীদের দিক্ষা দিয়ে। অর্থাৎ তাওহীদ যত দিন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি ততদিন পর্যন্ত নাযিল করা হয়নি সলাত, যাকাত, কিংবা সিয়াম ফরযের বিধান। চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার, বিবাহ,তালাক ইত্যাদির বিধানাবলীও নাযেল হয়েছিল তাওহীদের শেকড় মজবূত হবার পরে। বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের মৌলিক বিষয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৪টি প্রশ্নোত্তর

প্রিয় তাওহীদ বিডি.ওয়ার্ড প্রেস ব্লগের বন্ধুবর ব্লগার ও সম্মানিত ভিজিটর ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রশ্নোত্তর শুরু করছি। কিছুক্ষণ আপনাদের সঙ্গ কামনা করছি। আশা করি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ে মন্তব্য দিবেন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমীন।

১ম প্রশ্নঃ আমার, আপনার এবং পৃথিবীর সব কিছুর স্রষ্টা ও পালনকর্তা কে?
উত্তরঃ আমার, আপনার এবং সারা জাহানের একমাত্র স্রষ্টা ও পালনকর্তা হলেন মহান আল্লাহ। তিনি দয়া করে আমাকে সহ পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছু লালন-পালন করছেন।
২য় প্রশ্নঃ আমাদের দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম কী?
উত্তরঃ আমাদের দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম হল ইসলাম। ইসলাম মানে হল, আল্লাহকে ভয় করে, তাঁর প্রতি ভালবাসা রেখে এবং কাছেই আশা ও আকাংখা নিয়ে পরিপূর্ণভাবে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। বাকিটুকু পড়ুন

আযান শুনে মাসজিদে না আসা

আযান শুনে মাসজিদে না আসা আযান শুনে মাসজিদে না আসলে নামায হবে না। পুরুষ সকল নামায মাসজিদে এসে জাআতের সাথে আদায় করবে এটা তার উপর আবশ্যক। কোন কারণ ছাড়াই পুরুষ ঘরে নামায আদায় করবে এটা শরীয়ত সম্মত কাজ নয়। যে এ ধরণের কাজ করবে শরীয়ত তার ব্যাপারে হুশিয়ার বাণী উচ্চারণ করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

 مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يَأْتِهِ فَلَا صَلَاةَ لَهُ إِلَّا مِنْ عُذْرٍ

“যে ব্যক্তি আযান শ্রবন করে বিনা কারণে মাসজিদে আসবে না তার নামায হবে না”। (ইবনু মাজাহ, দারাকুতনি ও মুসনাদে আহমাদ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন:

وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبَ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “ঐসত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি খড়ি (কাঠ) জমা করার আদেশ দেই অত:পর উহা জমা করা হোক, তারপর নামাযের আযান দেয়ার আদেশ দেই এবং তা দেয়া হোক, অত:পর একজনকে নামায পড়ানোর আদেশ দেই। সে নামাযের ইমামতি করুক আর আমি ঐ সমস- লোকদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে ভষ্মিভূত করে দেই যারা নামাযে আসে না”। (বুখারী ও মুসলিম) এ হাদীস দ্বারা প্রতিয়মান হয় যে, পুরুষের জন্যে মাসজিদে এসে নামায আদায় করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সুতরাং যারা এ থেকে পিছে থাকবে তারা কঠিন